কুমারখালী প্রতিনিধিঃ
বৃহত্তম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক। তেমনি একটি ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জেলা কুমারখালির উপজেলায় মূল দুইটি ইউনিয়ন হল নন্দলালপুর এবং শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদ,। তবে আগামী নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তরুণদের অধিকার আদায়, শিক্ষার মান শক্ত করন, মাদক দূর করন সহ ইউনিয়ন বাসীর অধিকার সম্পন্ন করতে নির্বাচনে লড়তে চান দুই বন্ধু।
বর্তমান নন্দলালপুর এবং শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা নওশের আলী বিশ্বাস ও সালাউদ্দিন খান তারেক।
তবে একই উপজেলায় দুটি পাশাপাশি ইউনিয়ন নন্দলালপুর ও শিলাইদহ ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে আসছে চমক দুটি বন্ধুর মুখ। নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে লড়াই করবে শেখ মিজানুর রহমান লিটন আর শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন রাইসুল ইসলাম। এদের দুই বন্ধুর যুবসমাজের কাছে রয়েছে আকাশ চুম্বি জনপ্রিয়তা। তবে রাইসুল ইসলাম রাজনৈতিক সাথে এক্টিভ রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাইসুল ইসলাম সাবেক কুমারখালী কলেজ ছাত্র লীগের সুভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ও বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি আছেন।
আর উল্টো দিকে, শেখ মিজানুর রহরান লিটন শেখ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র মত্রির প্রচার সম্পাদক এবং পরবর্তিতে ছাত্র লীগের রাজনীতির সঙ্গে যোগ দেন। তবে গন জরিপে দেখা গেছে দুজনের ই ভোট খনি ইয়াং জেনারেশনের । ইয়াং জেনারেশনের ৭৫% সমর্থন রয়েছে তাদের দখলে।
এদিকে আলোচনা-সমালোচনা যাই হোক একটি বিষয় ফুটে উঠেছে তরুণ সমাজ লিটন কে নিয়ে বেশ আগ্রহী। ইউনিয়নের তরুণ তরুণীরা শেখ মিজানুর রহমান লিটন কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তুমুল ঝড় তুলেছে । হাজার হাজার আইডির টাইমলাইনে লিটনকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই এমন পোস্টার-ব্যানার পোস্টে ভরিয়ে ফেলেছে ইউনিয়নবাসী। তবে এমন প্রচারণা দিনে দিনে বাড়ছে সেই সাথে জনপ্রিয় হচ্ছে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিটন শেখের হাত। আর একই রুপে সাজানো হয়েছে শিলাইদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাইসুলের। শিলাইদহ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ক্যান্ডিডেট না থাকাতে বারবার নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন খান তারেক। আর এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচন করছেন রাইসুল ইসলাম। নিজ ইউনিয়নে গনসংযোগ সহ প্রসাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টার-ব্যানার পোস্টে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
শেখ মিজানুর রহমান লিটন শেখের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার কখনই নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিলাম না, তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী তরুণ ছাত্র সমাজ সহ সবার অনুপ্রেরণায় আগামী ২০২১ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে লড়তে চাই।
তবে এদের দুই বন্ধুর নতুন মুখ নিয়ে বর্তমান কীছূ মানুষের মাথা বাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।


0 Comments