কুমারখালী প্রতিনিধি।
সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার জনপদে আকাশের মত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী প্রতিথযশা বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও বংশীয় পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন এখন একটি নাম নয়, তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি সমগ্র বাংলাদেশের এক গৌরবান্বিত সন্তান। আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন যৌবনকাল থেকে সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে আর্বিভূত করেন। তিনি একজন অতি ভদ্র, নম্র, মার্জিত, বিনয়ী ও সফলতায় মোড়ানো জনপ্রিয় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক। মহাসাগরের মত বিশাল হৃদয়ের অধিকারী, যাঁর কোন তুলনা হয়না।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের বারংবার নির্বাচিত সভাপতি ও পর-পর তিন বার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এই সেই ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন। কিছু অরাজনৈতিক কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ জনগনের ও দলের মধ্যে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষে তাকে নিয়ে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় লিপ্ত হয়ে উঠেছেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পর্কে খোকসাবাসীর অজানা নয়। তার জনপ্রিয়তা দেখে কথিত কুচক্রীমহল ঈর্শ্বানিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়ে উঠেছেন।
তার রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবনের ইতিহাস ঘাটতে গেলে দেখা যায়, সে সকল রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে ভিন্ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন ১৯৬৬ সাল থেকে তার রাজনীতির ইতিহাসে নাম লেখান, তখন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পদার্পন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ‘৭১’ সালে দেশকে শত্র“ মুক্ত করতে দীর্ঘ ৯টি মাস যুদ্ধ করেছন। বাংলার ইতিহাসের পলিমাটিতে তার জন্ম। ধ্বংস, বিভীষিকা, বিপর্যয়ের মধ্যদিয়ে সেই পলিমাটিকে রক্ষা করতে বাঙালির চেতনায় শক্ত ও জমাটবদ্ধ একটি ভূখন্ড রক্ষা করতে তিনি পিছুপা হননি, ঝাপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধের ময়দানে, ছিনিয়ে এনেছিল লাল-সবুজ একটি মানচিত্র।
তারপর ফিরে এসে ১৯৭২ সালে খোকসা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন, ১৯৭৪ সালে থানা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারের হত্যার পর তার উপর নেমে আসে নানা জুলুম ও অত্যাচার। তাকে সেনাবাহিনী দ্বারা গ্রেফতার করে দু’বছর জেলেও থাকতে হয়েছে তাকে। তারপরও খোকসা থানার আওয়ামীলীগকে সে আগলে রাখে, তার সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য ১৯৮৩ সালে তিনি খোকসা থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়, ১৯৮৭ সাল হতে তিনি একটানা একই ইউনিটে ১৫ বছর সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার সাংগঠনিক ও আচার-আচরনে তিনি খোকসার সকল মানুষের মন জয় করে নেয়।
১৯৯০ সালে তার জনপ্রিয়তার মাধ্যমে আওয়ামীলীগের সমর্থনে বিপুল ভোটে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। ২০০১সালে খোকসা পৌরসভার প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সাল থেকে খোকসা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে একটানা ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতারের প্রতিবাদে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হয়ে ১১ মাস কারাবন্দি থাকেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও কর্মী বান্ধবের কারনে কুষ্টিয়া-৪ আসনে তৃণমূল নেতা কর্মী ও সকল শ্রেণীর জনগন তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাইলেও ২০০৯ সালে তাকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়, পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আবারও বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়ে সকল নেতা কর্মীদেরকে সে নিজ বুকে আগলে রাখেন।
২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমীটির সদস্য পদ লাভ করে। ২০১৪ সালে তিনি পূনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ২৪শে নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়। ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। ২০১৯ সালের ২৮শে নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে তিনি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়।
তার এই সাফল্যতাকে একটি কুচক্রী মহল সহ্য না করতে পেরে বৈইমান খন্দকার মোশতাকের দল তাকে নিয়ে নানা ধরনের গুজব রটাচ্ছে বলে খোকসাবাসী প্রতিবেদককে জানিয়েছে। ঐ সকল ব্যক্তিরা আক্ষেপ করে এটাও বলেন, আপনারা আজ যে পজিশনে দাঁড়িয়ে আছেন সেটাও সদর উদ্দিন খানের হাত ধরে বহাল তবিয়তে আছেন সেটাও আপনাদের হয়তো অজানা নয়? সদর উদ্দিন খানের পূর্বের আওয়ামীলীগের নেতা বা কর্মীরা ঐ সময় বিএনপি জামাতের নেতাদের কাছে মান অপমান ও তাদের হাতের চড় থাপ্পড় খেয়ে প্রাণ নাশের ভয়ে বাড়ি থেকেই বেরই হতেন না, সদর উদ্দিন খাঁন দলে আসার পর সেই অত্যাচারিত ভীত আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে দল পরিচালনা করেছেন তারপর থেকে আর কোনদিন পিছুপা হতে হয়নি আপনাদের। তার নিজ হাতে ঢেলে সাজানো গোছানো আওয়ামীলীগকে আপনাদের ব্যক্তি স্বার্থের কাছে বিক্রি করে সেই পূর্বের বিএনপি জামাতের এ্যাজেন্টদের যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে ত্যাগী এই সিনিয়র নেতাকে ঘিরে ভিত্তিহীন মনগড়া গুজব ছড়াচ্ছেন। তাই তাদের মনগড়া গুজবে কান না দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানের বণ্যার্ঢ রাজনৈতিক জীবনের কিছু অংশ আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হল মর্মে যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে দীর্ঘ বছর ধরে কুষ্টিয়া জেলার খোকসাবাসীর জনসাধারনের পাশে দাড়িয়ে সেবা করে যাচ্ছেন।


0 Comments